
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলষ্টেশনের ট্রেন। দীর্ঘ সময় পর ট্রেন চালু হওয়ায় যাত্রী কিছুটা কম ছিলো তাই বাড়তি কোনো বিড়ম্বনা নেই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করায় ভ্রমণের স্বস্তির কথাও জানান যাত্রীরা। ষ্টেশন মাস্টার বলছে, লোকাল ট্রেন হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা অনেকটা কষ্টকর, তারপরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে চালু হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল। সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ লম্বা সময় পর ট্রেন চলাচল চালু হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা ছিলো অনেক কম। এক একটি বগিতে ১৫-২০ জনের মতো যাত্রী চোখে পড়ে। যাত্রী কম থাকায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন, তবে বলছে কতদিন এ ধরনের পরিস্থিতি থাকে তা বলা মুশকিল। আগের মতো করে বা একজনের উপরে যাতে আরেকজন দাড়িয়ে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকেই বলছেন কয়েকজন যাত্রী।
যাত্রীরা জানান, যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর দিতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকেই। যেহেতু এক সিটে দুইজন বসবে তাই দূরত্ব বজায় রাখা কিছুটা কঠিন হবে। কিন্তু দুজনের জায়গায় যাতে তিনজন না বসে বা দাড়িয়ে কোনো যাত্রী না নেয়া হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। করোনার পরিস্থিতির শুরুতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় গত ২৬ মার্চ। পুনরায় চালু হওয়ার পর অনেকেই আজ এ রুটে প্রথম ট্রেনের যাত্রী হয়েছেন।
দেখা যায়, যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। টিকিট কাটতেও নেই তেমন ভীড় তাই নেই টিকিট কাটা নিয়ে ভোগান্তি। তবে নিজে সচেতন থাকলেও সিটের দুরত্ব না থাকায় এবং হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি কিছুটা বেড়েছে বলছেন কেউ কেউ।
মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, তাই যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম। তবে যত কম সংখ্যক যাত্রীই হোক না কেন সকলের মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক ব্যতিত কাউকেই আমরা স্টেশনে প্রবেশ করতে বা ট্রেনে চড়তে দিচ্ছি না।’ যাত্রী সেবায় নিয়মিত তদারকি বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
No posts found.